পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

যমুনার মাঠ

১. ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি। আকাশটা নীল রঙের সমুদ্র মাথার উপরে ছেয়ে আছে, আর মাঝে মাঝে সাদা তুলোর মত সেই নীল সমুদ্র বেয়ে ভেসে যাচ্ছে। দৃশ্যটা সুন্দর, শরত সবসময় মানুষের মনকে একটু উদাসীন করে তোলে। কিন্তু এখানে, এই পরিবেশে সেই উদাসীনতা উবে যায় বাষ্পের মত। যতদুর চোখু যায় শুধু মাটি, পুড়ে বাদামী হয়ে যাওয়া মাটিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে শুধু ছড়িয়ে আছে। গাছ তো দুরের কথা, কোথাও কোন ছোটখাটো ঝোপও নেই। আশে পাশে যত লোকালয় সবই দিগন্তে ছবি হয়ে ঝুলে আছে। উপর থেকে দেখলে মনে হবে নাপিত বিশাল ক্ষুর দিয়ে পৃথিবীটাকে ন্যাড়া করতে গিয়ে হঠাত উঠে গিয়েছে, এক্ষুনি এসে বাকিটুকু শেষ করবে। কিন্তু এর মাঝেও একটা বটগাছকে দেখা যায় মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। গাছটার বয়স আশপাশের গ্রামের মত অনুযায়ী চারশ বছর। সেই তুলনায় এর ব্যাপ্তি বেশী না। কিন্তু এই কঠিন পরিবেশে বেচে আছে কি করে সেটা অবাক করার বিষয় বটে। ঈশ্বর বোধহয় দয়া করে গাছটি লাগিয়েছিলেন। এবং পরিচর্যাও স্বয়ং ঈস্বরই নেন সেটাও এখানকার মুরব্বীদের ধারনা। সেটা কতটুকু সত্যি তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এই রুক্ষ কাঠা ফাটা রোদ্দুরেও অল্প কয়েকটা পাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে এতগুলো বছর বেচে থাকা সহজ কথা নয়।